কমডোর মোঃ শফিউল বারী, (এনডি), এনডিসি, পিএসসি, বিএন জানুয়ারি ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে যোগদান করেন এবং ০১ জুলাই ১৯৯২ সালে এক্সিকিউটিভ (অপারেশন) শাখায় কমিশন প্রাপ্ত হন। তাঁর দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পেশাগত প্রতিষ্ঠানে জুনিয়র, মিড ও উচ্চতর পর্যায়ের কোর্স সম্পন্ন করেছেন। লেফটেন্যান্ট হিসেবে তিনি পাকিস্তানের করাচিতে লং এনডি (নেভিগেশন অ্যান্ড ডিরেকশন) বিশেষায়িত কোর্সে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন। তিনি ২০০৬ সালে মিরপুরে অবস্থিত ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ (DSCSC) থেকে স্টাফ কোর্স সম্পন্ন করেন এবং ২০০৮ সালে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হিসেবে ভারতের ওয়েলিংটনে অবস্থিত ডিফেন্স সার্ভিসেস স্টাফ কলেজ (DSSC) থেকে দ্বিতীয় স্টাফ কোর্স করেন। পরবর্তীতে তিনি ২০১২-১৩ সালে DSCSC, মিরপুর-এ ডিরেক্টিং স্টাফ এবং ২০১৬-১৭ সালে সিনিয়র ইনস্ট্রাক্টর (এন) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০১৫ সালে পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ট্রেনিং সেন্টার (PATC), সাভার-এ ৭৪ তম সিনিয়র স্টাফ কোর্স (SSC) সম্পন্ন করেন যেখানে তিনি প্রশাসনের যুগ্মসচিবদের সঙ্গে কোর্স করেন। তিনি ভারতের মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিফেন্স অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ-এ এমএসসি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা থেকে এমডিএস এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (BUP) থেকে এমএসএস ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ (এনডিসি), মিরপুর থেকে এনডিসি কোর্স সম্পন্ন করেন। কমডোর বারীর পেশাগত জীবন অত্যন্ত গৌরবময়, যেখানে তিনি বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কমান্ড, স্টাফ এবং প্রশিক্ষণমূলক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি প্যাট্রোল ক্রাফট, মিসাইল বোট, অফশোর প্যাট্রোল ভেসেল, গাইডেড মিসাইল ফ্রিগেটসহ বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধজাহাজ এবং বানৌজা ঢাকা ঘাটির অধিনায়ক ছিলেন। তিনি নৌ সদর দপ্তরে ডিরেক্টর নেভাল ট্রেনিং এবং স্টাফ অফিসার অপারেশন হিসেবে এবং এরিয়া সদর দপ্তরে চিফ স্টাফ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর আন্তর্জাতিক দায়িত্বগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে (UNAMID), দারফুর, সুদানে লিয়াজো অফিসার (LO) হিসেবে এবং শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপে প্রতিরক্ষা অ্যাটাশে হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ২০১৮ সালে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষে (CPA) মেম্বার (অপারেশন) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বর্তমানে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন। তাঁর দীর্ঘ ক্যারিয়ারে বিশিষ্ট স্বীকৃতি হিসেবে তিনি ২০১৬ সালে নৌপ্রধানের প্রশংসা পুরস্কার লাভ করেন। তিনি একজন আগ্রহী গল্ফ খেলোয়াড় এবং সুখী দাম্পত্য জীবনে এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক।